News- ধর্ষণের আসামিকে শিশু দেখাতে…..
ধর্ষণের আসামিকে শিশু দেখাতে…..
রাজবাড়ীতে শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায়
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া আসামি রইচ
শেখের (১৮) বয়স কমিয়ে শিশু বানাতে জন্মনিবন্ধনের বইয়ে
কাটাছেঁড়া করা হয়েছে। তিনি
সদর উপজেলার মূলঘর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মৃত আশরাফ আলী শেখের ছেলে।
জেলা প্রশাসক মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রইচের বয়স কমানোর ঘটনা আমি জানার সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি নিরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিপুল চন্দ্র বিশ্বাসকে দায়িত্ব দিই। সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বরাবর প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।’
উপজেলার মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) জন্মনিবন্ধনের বই-৫-এ ২০০৮ সালের ১৪ জুনের ০১২০৩৩ ক্রমিক নম্বরে রইচের জন্মতারিখ লিপিবদ্ধ করা হয়। সেখানে তাঁর জন্মতারিখের (অঙ্কে লেখা) বছরের স্থানটি ঘষামাজা করে ১৯৯৮ লেখা। এ ছাড়া কথায় তিন ডিসেম্বর উনিশ শত বিরানব্বইয়ের ‘বিরা’ কেটে ‘আটা’ লেখা। নতুন জন্মতারিখে হত্যাকাণ্ডের দিন তার বয়স হয় ১৪ বছর, এক মাস, ১০ দিন। ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগসাজশে এ বয়স কমানোর হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মূলঘর ইউপির চেয়ারম্যান মো. আবদুল মান্নান মুসল্লিকে ইউনিয়ন পরিষদ ও বাড়িতে না পাওয়ায় মুঠোফোনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে ফোনটি তাঁর ছোট ভাই ধরে বলেন, ‘ভাই ফোন রেখে বাইরে গেছেন।’
তবে মূলঘর ইউপির সচিব আবদুল মোমিন জানান, বয়স কবে কমানো হয়েছে, তা তিনি জানেন না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গোপালপুর গ্রামে রইচের বাড়ি থেকে কিছু দূরে মৌসুমিদের টিনের ছাপরাঘর। ঘরের পেছনে মৌসুমির কবর। এ সময় মৌসুমির মায়ের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন।
প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট রইচ (তাঁর আরও দুজন সৎভাইবোন আছেন, তাঁরা অন্যত্র বসবাস করেন)। ১৩-১৪ বছর আগে তাঁরা গোপালপুরে বসতবাড়ি তৈরি করে বসবাস করলেও তিনি স্কুলে যেতেন না। প্রতিবেশীদের চাপে তাঁকে স্কুলে দেওয়া হয় চার-পাঁচ বছর আগে। তিনি অনিয়মিতভাবে রাজমিস্ত্রির কাজ করলেও মাঝেমধ্যেই চুরি করে ধরা পড়তেন। এ নিয়ে তাঁদের বাড়ি ও এলাকার মাতব্বরের কাছে নালিশ জানানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়াদুদ আলম জানান, মামলার অধিকতর তদন্ত এবং এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা জানার জন্য আসামির ডিএনএ পরীক্ষা করতে আলামত ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ডিএনএ প্রতিবেদন হাতে পেলেই মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
গোপালপুর গ্রামের আবজাল মৃধার মেয়ে মৌসুমি (৫) স্থানীয় ব্র্র্যাক প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১৩ জানুয়ারি সকালে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় ধর্ষণচেষ্টা মামলায় জামিনে থাকা রইচ শেখ তাকে ডেকে বাঁশঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। ওই দিন রাতেই মৌসুমির মা মাহিদা বেগম বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা করেন।
জেলা প্রশাসক মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রইচের বয়স কমানোর ঘটনা আমি জানার সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি নিরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিপুল চন্দ্র বিশ্বাসকে দায়িত্ব দিই। সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বরাবর প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।’
উপজেলার মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) জন্মনিবন্ধনের বই-৫-এ ২০০৮ সালের ১৪ জুনের ০১২০৩৩ ক্রমিক নম্বরে রইচের জন্মতারিখ লিপিবদ্ধ করা হয়। সেখানে তাঁর জন্মতারিখের (অঙ্কে লেখা) বছরের স্থানটি ঘষামাজা করে ১৯৯৮ লেখা। এ ছাড়া কথায় তিন ডিসেম্বর উনিশ শত বিরানব্বইয়ের ‘বিরা’ কেটে ‘আটা’ লেখা। নতুন জন্মতারিখে হত্যাকাণ্ডের দিন তার বয়স হয় ১৪ বছর, এক মাস, ১০ দিন। ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগসাজশে এ বয়স কমানোর হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মূলঘর ইউপির চেয়ারম্যান মো. আবদুল মান্নান মুসল্লিকে ইউনিয়ন পরিষদ ও বাড়িতে না পাওয়ায় মুঠোফোনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে ফোনটি তাঁর ছোট ভাই ধরে বলেন, ‘ভাই ফোন রেখে বাইরে গেছেন।’
তবে মূলঘর ইউপির সচিব আবদুল মোমিন জানান, বয়স কবে কমানো হয়েছে, তা তিনি জানেন না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গোপালপুর গ্রামে রইচের বাড়ি থেকে কিছু দূরে মৌসুমিদের টিনের ছাপরাঘর। ঘরের পেছনে মৌসুমির কবর। এ সময় মৌসুমির মায়ের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন।
প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট রইচ (তাঁর আরও দুজন সৎভাইবোন আছেন, তাঁরা অন্যত্র বসবাস করেন)। ১৩-১৪ বছর আগে তাঁরা গোপালপুরে বসতবাড়ি তৈরি করে বসবাস করলেও তিনি স্কুলে যেতেন না। প্রতিবেশীদের চাপে তাঁকে স্কুলে দেওয়া হয় চার-পাঁচ বছর আগে। তিনি অনিয়মিতভাবে রাজমিস্ত্রির কাজ করলেও মাঝেমধ্যেই চুরি করে ধরা পড়তেন। এ নিয়ে তাঁদের বাড়ি ও এলাকার মাতব্বরের কাছে নালিশ জানানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়াদুদ আলম জানান, মামলার অধিকতর তদন্ত এবং এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা জানার জন্য আসামির ডিএনএ পরীক্ষা করতে আলামত ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ডিএনএ প্রতিবেদন হাতে পেলেই মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
গোপালপুর গ্রামের আবজাল মৃধার মেয়ে মৌসুমি (৫) স্থানীয় ব্র্র্যাক প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১৩ জানুয়ারি সকালে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় ধর্ষণচেষ্টা মামলায় জামিনে থাকা রইচ শেখ তাকে ডেকে বাঁশঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। ওই দিন রাতেই মৌসুমির মা মাহিদা বেগম বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা করেন।
News by: www.prothom-alo.com/
0 comments: